প্রকাশিত: ০৩/০৫/২০১৮ ৬:৫৪ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৩:২১ এএম

হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া নিউজ ডটকম::
কক্সবাজার-টেকনাফ শহীদ এ টি এম জাফর আলম আরাকান সড়ক যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই দুর্ঘটনায় সড়কে প্রাণ যাচ্ছে অসংখ্য মানুষের। আহত হয়ে, পঙ্গুত্ব বরণ করে দুর্বিসহ জীবনযাপন করছে শত শত মানুষ। সরকার ও সংশ্লিষ্ঠরা সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় নিত্য সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানী ঘটছে এবং তা ক্রমাগতভাবে বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি এই দুর্ঘটনায় নতুনমাত্রা যুক্ত হয়েছে কক্সবাজার জেলার বরেণ্য রাজনীতিবিদের প্রাণ হারানো। গত ২ মে কক্সবাজার জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সিরাজুল হক বিএ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ায় মানুষকে নাড়া দিয়েছে। নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে নানা করনীয় সম্পর্কে। সড়ক দুর্ঘটনা যেভাবে বেড়েছে তা একটু চিন্তা করলে চমকে উঠতে হয়। হলদিয়া পালং ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার পাতাবাড়ি এলাকার ছালেহ আহমদ চৌধরিী উখিয়া রাজা পালং হাসপাতাল সড়কের প্রবেশ মুখে সিএনজি দুর্ঘটনায় নিহত হয়। উখিয়া হাই স্কুল গেইট সংলগ্ন রাকিব কম্পিউটারের সত্বাধিকারী রাকিবের বাবা জাকের হোসেন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে টমটম ও ডাম্পারের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন। রতœাপালং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাশেম চৌধুরীর ছেলে আবু তাহের চৌধুরী খুনিয়া পালং এলাকায় মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। রতœাপালং ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার জামায়াতের রোকন আলহাজ্ব রফিকুল আলম মরিচ্যা গরুবাজারের আগের টেকে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। ইতিমধ্যে এক মহিলাসহ ৪ জন এনজিও কর্মী মেরিন ড্রাইভ সড়কে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে আবুল কাশেম নুর জাহান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের এক মেধাবী ছাত্র টমটম দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। এভাবে অসংখ্য মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় অকালে প্রাণ হারিয়েছেন। সড়ক দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে আরো অনেকে আছেন যারা আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করে দুর্বিসহ জীবন কাটাচ্ছেন। পরিকল্পিত উখিয়া চাই এর আহবায়ক সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সিকদার বলেন, সড়ক দুর্ঘটনাকে জাতীয় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে জরুরী ভিত্তিতে এসব দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি কমাতে উদ্যোগ গ্রহণ, মালিক শ্রমিক যাত্রী সরকার মিলে সম্মিলিতভাবে এই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। অদক্ষ চালকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সচেতনতা বাড়াতে হবে। সড়কে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। সামাজিক সংগঠন সূর্যোদয় সংঘের সভাপতি নুরুল আলম বলেন, কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কটি এখন ভিআইপি সড়কে পরিণত হয়েছে। এখানে ট্রাপিক ব্যবস্থা আরো জোরদার করতে হবে। দিন দিন আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠছে পরিবহন ব্যবস্থাপনা। জিম্মি হয়ে পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা। চালকেরা প্রতিযোগিতা দিয়ে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে গেলে যাত্রীরা ভয়ে চিৎকার করলেও চালকের মুখে হাসিই দেখা যায়। অধিকাংশ চালকেরা গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ব্যবহার করে। আইন লঙঘনের এসব ঘটনা দেখার দায়িত্ব যাদের সেই সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসন বরাবরই নির্বিকার।

পাঠকের মতামত

২২ টি মোবাইল টীমের মাধ্যমে উখিয়ায় স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে প্রান্তিক

তাপমাত্রা প্রায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যে তাপমাত্রায় মানুষ ঘর থেকে বের হতে ভয় পায়। সেখানে ...

টেকনাফে ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্থ হতদরিদ্র পরিবার “আয়েশা” পেলেন মাথা গোছার নতুন ঠাঁই !

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়ন এ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখায়’ ক্ষতিগ্রস্ত হতদরিদ্র পরিবারের কাছে তুলে দিয়েছেন সেমিপাকা ...